হরিণাকুন্ডুর সব ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী হতে চান ৫০ জন
স্টাফ রিপোর্টার,ঝিনাইদহ অনলাইনঃ
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে বইতে শুরু করেছে
ভোটের হাওয়া। চতুর্থ দফায় আগামী ডিসেম্বরে এ উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদগুলোর নির্বাচন হতে পারে- এমন ভাবনায় জোরেশোরে মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থক। গ্রামে গ্রামে পাড়া-মহল্লায় চলছে গণসংযোগ, উঠান বৈঠক আর সভা-সমাবেশ। নির্বাচনী আমেজে সরগরম হয়ে উঠেছে চায়ের দোকান। নৌকা প্রতীক পেতে সম্ভাব্য প্রার্থীরা কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ছুটছেন জেলা নেতাদের পাশাপাশি স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে। এমন দৃশ্য এখন উপজেলার আট ইউনিয়নে। এসব ইউনিয়নে সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন অন্তত ৫০ জন। তবে নির্বাচন নিয়ে তৎপরতা নেই বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নুর-উল্লাহ জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সব ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন হবে। এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় মাঠ পর্য়ায়ে তারা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।
উপজেলার ১ নম্বর ভায়না ইউনিয়নে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছমির উদ্দিনসহ অন্তত পাঁচজন প্রচার শুরু করেছেন। ২ নম্বর জোড়াদহ ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা পলাশ, তরুণ সমাজসেবক জাহিদুল ইসলাম বাবু মিয়া, গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে পরাজিত প্রার্থী জহির রায়হান, আমিরুল ইসলাম পালুসহ ছয়জন মাঠে রয়েছেন। ৩ নম্বর তাহেরহুদা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান মুন্সি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফিরোজ সালাউদ্দিনসহ আরও চার নেতাকর্মী প্রার্থী হতে চান। ৪ নম্বর দৌলতপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শেরেগুল ইসলাম, ছাব্দার রহমান, রফিকুল ইসলাম, হাসানুজ্জামান, দরাপ আলীসহ ছয়জন ভোটের মাঠে তৎপর রয়েছেন। ৫ নম্বর কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান শরাফত দৌলা ঝন্টু, সাবেক চেয়ারম্যান মশিউর রহমান জোয়ার্দারসহ একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন পেতে চেষ্টা চালাচ্ছেন। একই অবস্থা ৬ নম্বর ফলসী ইউনিয়নেও। সেখানে বর্তমান চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান বজলুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি রাসেদুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন। ৭ নম্বর রঘুনাথপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান রাকিবুল ইসলাম রাসেলসহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় নেতাকর্মী তৎপর রয়েছেন ভোটের মাঠে। ৮ নম্বর চাঁদপুর ইউনিয়নেও বতর্মান চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা, স্থানীয় এমপির পিএস কামাল হোসেনসহ আরও কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থী তৎপর রয়েছেন।
৫ নম্বর কাপাশহাটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান শরাফত দৌলা ঝন্টু বলেন, মনোনয়ন পেলে এবারও বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবো।
তাহেরহুদা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপ্রত্যাশী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ফিরোজ সালাউদ্দিন বলেন, মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবো।
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক বলেন, স্থানীয় নির্বাচনের বিষয়ে এখনও দল থেকে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। সিদ্ধান্ত এলে প্রতিটি ইউনিয়নেই প্রার্থী দেওয়া হবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী সম্ভাব্য প্রার্থীদের নামের তালিকা পাঠানো হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, নেত্রী যাদের দলীয় মনোনয়ন দেবেন, তাদের বিজয়ী করতে একযোগে কাজ করবেন জেলা ও উপজেলা নেতারা