ঝিনাইদহ আড়াই’শ বেড জেনারেল হাসপাতালের ডিসপেনসারি
থেকে ওষুধ নিতে স্টাফদের প্রতি অফিস আদেশ
আসিফ কাজলঃ
ঝিনাইদহ আড়াই’শ বেড জেনারেল হাসপাতালের ডিসপেনসারি থেকে স্টাফদের দেদারছে ওষুধ উত্তোলনের লাগাম টেনে ধরেছে হাসপাতাল কৃর্তপক্ষ। এ নিয়ে দৈনিক নবচিত্রসহ বিভিন্ন দৈনিকে তথ্য ভিত্তিক খবর প্রকাশিত হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়। অবশেষে সোমবার এ সংক্রান্ত এক অফিস আদেশ জারি করেছেন হাসপাতালের তত্ববধায়ক ডাঃ সৈয়দ রেজাউল ইসলাম। অফিস আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে হাসপাতালে কর্মরত ইন্টার্নি শিক্ষার্থী, সেচ্ছাসেবক ও আউট সোর্সিং কর্মচারিরা প্রতিদিন হাসপাতালের ডিসপেনসারি থেকে ওষুধ গ্রহন করেন। এ ক্ষেত্রে যদি তাদের ওষুধ গ্রহন প্রয়োজন হয় তবে হাসপাতালের তত্ববধায়ক ডাঃ সৈয়দ রেজাউল ইসলাম ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার সাক্ষরিত স্লিপ তাদের ওষুধ গ্রহনের জন্য বলা হলো। অফিস আদেশে ইনচার্জ ডিসপেনসারিকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত উল্লেখিত দুই কর্মকর্তার সাক্ষর ব্যতিত ওষুধ প্রদান থেকে বিরত থাকার জন্য বলা হয়েছে। উল্লেখ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের ডাক্তার এবং প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের যোগসাজশে রোগীদের স্লিপ জাল করে সরকারি লুটের মহোৎসব চালানো হতো। হাসপাতালের আশেপাশে গড়ে ওঠা ক্লিনিক, ওষুধের দোকান ও প্যাথলজির কর্মচারী এবং দালাল চক্র এই অপকর্মের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ। জানা গেছে, প্রতিদিন দুপুর পার হতেই আসতে শুরু করে এই সুবিধাভোগী চক্রের সদস্যরা। তারা একাধিক স্লিপ নিয়ে ব্যাগ ভর্তি করে সরকারি ওষুধ তুলে নিয়ে যায়। এই চিত্র প্রতিদিনের হলেও কোনো প্রতিকার ছিল না। ফলে হতদরিদ্র রোগীরা হাসপাতালের সরকারি ওষুধ থেকে বঞ্চিত হতো। গত ২০ ফেব্রয়ারি দুপুরে এ ভাবে ওষুধ নিতে গিয়ে ধরা পড়ে সাদ্দাম হোসেন ও রাতুল নামে দুই যুবক। তাদের কাছে পাওয়া যায় ডা. মারুফ স্বাক্ষরিত একাধিক টিকিট। একাধিক বহির্বিভাগীয় রোগীর টিকিট নিয়ে ব্যাগের মধ্যে ওষুধ ভরছিলেন তারা। ধরাপড়ার পর তাদের হাসপাতালের তত্ববাবধায়ক সৈয়দ রেজাউল ইসলামের দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেন। বিষয়টি নিয়ে তখন জেলাব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে।