ঝিনাইদহে ১০ বছরের শিশুর মৃত্যু
নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চুটলিয়া গ্রামে থেকে ২য় শ্রেনীর স্কুল ছাত্রী রানী খাতুন (১০)’র মৃত্যু নিয়ে ধোয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। শিশুটির পিতার অভিযোগ, মারধরের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। আর নানার বাড়ির লোকজন বলছে জ্বরের কারণে তার মৃত্যু স্বাভাবিক হয়েছে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ২০০৯ সালে শহরের কানঞ্চনপুর গ্রামের আব্দুর রাকিবের সাথে সদর উপজেলার চুটলিয়া গ্রামের ইলিয়াস কাজীর মেয়ে ঝর্না খাতুনের বিয়ে হয়। ২০১৪ সালে পারিবারিক কলহের কারণে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর থেকে রানীর মা তার বাবার বাড়ীতে থাকতো। শিশু রানী বাবা ও নানার বাড়ি যাওয়া আসা করতো। গত ১০ অক্টোবর পিতার বাড়ী থেকে জ্বর নিয়ে চুটলিয়া গ্রামে তার নানা বাড়ীতে আসে রানী। শিশুটির মা ঝর্ণা খাতুন বলেন, রাত ১০ টার দিকে ওর গায়ে জ্বর ছিল। আমি কম্বল গায়ে জড়িয়ে দিয়েছিলাম। রানী টিভি দেখছিল। আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। রাত ২ টার দিকে উঠে দেখি রানী বিছানায় নেই। বাইরে এসে দেখি বাথরুমের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে সে। নানা ইলিয়াস কাজী জানান, আমি ওকে ঘাড়ে তোলার পর দুই টি ঝাকি দেওয়ার পরই মারা গেছে। তবে ওর গায়ে খুব জ্বর ছিল। শিশুটির পিতা আব্দুর রাকিব অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েকে মারধর করেছে। মারধরের কারণেই ও মারা গেছে। ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোঃ সোহেল রানা বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কি কারণে তার মৃত্য হয়েছে ময়না তদন্ত ছাড়া এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না।