প্রতিবন্ধী কিশোর-কিশোরীদের পজনন স্বাস্থ্য সচেতন বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: এইড ফাউন্ডেশন কর্তৃক বাস্তবায়িত এসএলএফ ও ডিআরআরএ প্রকল্পের আওতায় সকাল ১০.০০ টার এইড প্রকল্প কার্যালয় অডিটরিয়াম কক্ষে ২০ জন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তি ও তাদের অবিভাবকদের সমন্বয়ে এ ওরিয়েন্টশন শুরু হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিবন্ধী শিশু পুনর্বাসন কর্মসূচির সহকারি পরিচালক জনাব সুরাইয়া পারভীন শিল্পী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উক্ত প্রকল্পের সিবিআর ওয়ার্কার তাপস কুমার দেবতাথ, মধু মন্ডল বাকচী, নুরুল ইসলাম সহ উক্ত প্রকল্পের সকল কর্মীবৃন্দ। অনুষ্ঠানের বক্তব্যকে ইশারা ভাষায় উপস্থাপন করেন প্রকল্পের ইসিডি শিক্ষক জনাব মাকছুদা আক্তার স্বর্ণ। জনাব সুরাইয়া পারভীন শিল্পী বলেন, সুস্থ ও সংবেদনশীল সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সচেতন করে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন কিশোর-কিশোরীদের ক্ষেত্র বেশি বেশি অভিভাকদের সচেতন থাকতে হবে। কারণ বয়ঃসন্ধি কালে মানসিক পরিবর্তনের ফলে কিশোর-কিশোরীদের আচরণগত বৈশিষ্ট্য দেখা যাবে। এ সময় কিশোর-কিশোরীরা আত্মনির্ভর হতে চেষ্টা কওে স্বাধীনচেতা মনোভাব পোষন করে এবং সব বিষয়ে স্বাধীনতা চায় অনেক নতুন বন্ধু-বান্ধব এর সাথে মেলামেশা করে নতুন কিছুর দিকে আগ্রহ থাকে আত্ম সচেতন হবার কারণে নতুন নতুন পোষাক এবং ফ্যাশন সচেতন পোষাক এর দিকে বেশী মনোযাগী হয় খাবার দাবার এর প্রতি অনীহা দেখায় এবং কিশোরীরা কম খেয়ে ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখতে চায় বাবা মা বা পরিবারের সান্নিধ্যের চেয়ে বন্ধু-বান্ধবের সহচর্য বেশী পছন্দ কর গোপনীয়তা বজায় রাখতে চায়, তার নিজস্ব একটা জগত তৈরী করে নেয় স্নেহ ভালবাসার জন্য সর্বস্ব ত্যাগ করতে প্রস্তুত থাকে পারিপার্শ্বিক পরিবেশের সাথে সহজে খাপ খাওয়াতে পারে না বয়ঃসন্ধিকালে শারীরিক পরিবর্তনের কারণে নিজেকে নিয়ে বিব্রত থাকে তাই এসময় টা অভিভাককে সন্তানের নিকট বন্ধু সুলভ আচরণ করা একান্ত প্রয়োজন। ওরিয়েন্টেশন শেষে অভিভাক আকাশি বেগম সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে জানান, আমারা গ্রামের মানুষ কিছু বুঝি না। কিন্তু শিল্পী আপা যা বললেন সত্যি কথা বলতে প্রথমে লজ্জা পেয়েছি কিন্তু বিয়য়গুলি যে কত গুরুত্বপূণ তা এখন বুঝতে পারছি।