ঝিনাইদহে কঠোর লকডাউনের মধ্যেও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেকারী পণ্য তৈরি
তরিকুল ইসলাম তারেক:
ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলায় সাফদারপুরে সলেমানী বেকারীতে নোংরা পরিবেশ বিভিন্ন প্রকার ক্যামিক্যাল ভেজাল যুক্ত করে তৈরি করছে বেকারী পন্য। কঠোর লকডাউনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কারখানা চালু রেখেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। কারখানা খোলা রাখার দায়ে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করার পরও প্রতিকার মিলছে না। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলায় সাফদারপুর (মকছেদ মোড়) এলাকায় সলেমানী বেকারীতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অসাধু ব্যবসায়ী বেশি মুনাফার জন্য কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। যেখানে কারো মুখে মাস্ক নেই, অনেকে আবার মাস্ক থুতনির নিচে রেখে দিয়েছেন। ’অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বা নিষিদ্ধ কেমিক্যাল ব্যবহার করে বেকারী পণ্য তৈরি করলেও পণ্যের মোড়কের গায়ে রয়েছ বিএসটিআই এর লোগো। যা দেখে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি এসব খাদ্য সামগ্রী ভ্যান, নিষিদ্ধ বেবীট্যাক্সির মাধ্যমে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাট-বাজারে অবাধে বাজারজাত করা হচ্ছে। স্যাঁতস্যাঁতে বেকারীর মধ্যে বিভিন্ন পাত্রে রয়েছে মশামাছির ভন-ভনানী শব্দ। মাছি আর তেলাপোকা বিচরণের পাশাপাশি ধূলাবালি তৈরিকৃত খাবারের সাথে মিশে যাচ্ছে। শ্রমিকরা নিম্নমানের অপরিশোধিত পলিপ্যাকে কেরোসিনের কুপি অথবা মোমবাতি জ্বালিয়ে সকল খাদ্য সামগ্রী প্যাকেটজাত করছে। বিভিন্ন সময়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর, বিএসটিআই এবং জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বার বার এসব বেকারীকে নোংরা পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরি, সংরক্ষণ এবং নিষিদ্ধ কেমিক্যাল ব্যবহারের দায়ে জরিমানা করলেও বেকারীর কাজ ঠিক সেভাবেই চলছে। ‘কঠোর লকডাউনে পরিষেবার আওতাধীন ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে না। তার পরেও কিভাবে এসকল বেকারী কারখানা খোলা তা জনমতে প্রশ্ন ।