ঝিনাইদহের নলডাঙ্গায় সরকারী প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় নির্মাণের নামে লাখ লাখ টাকার নিয়োগ বাণিজ্য
নয়ন কবীর অন্তর,
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের যাত্রাপুরে অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর নির্মাণ করে লাখ লাখ টাকার নিয়োগ বানিজ্য করেছেন ওই বিদ্যালয়ের কথিত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোশাররফ হোসেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, বিদ্যালয়ের এখনো নির্মাণকাজ শুরু হয়নি, সেই বিদ্যালয়ের নাম করে লাখ লাখ টাকার নিয়োগ বানিজ্য করেছেন মোশাররফ হোসেন।তিনি নলডাঙ্গা ইউনিয়িনের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। স্থানীয়রা জানান বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে শিক্ষক নিয়োগের সংখ্যা বেশি।বিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয়েছে সংসদ সদস্য(ঝিনাইদহ ৪) জনাব আনোয়ারুল আজীম আনার সাহেবের মায়ের নামে।”জহুরা বেগম অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়”। এক গাড়ি ইট ও হাফ গাড়ি বালি দৃশ্যমান দেখা যায় সেখানে। কিন্তু বিগত প্রায় ২ বছর যাত্রাপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে এই বিদ্যালয় পরিচালনা ও কৌশলে নিয়োগ বানিজ্য করছেন মোশাররফ হোসেন। যাদের থেকে নিয়োগের কথা বলে টাকা নিয়েছে তাদের সকলের কাছে মোশাররফ হোসেন বলেছেন এম,পি মহোদয়কে টাকা দিয়ে সরকারি অনুমোদন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্যের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ওই বিদ্যালয়ের সরকারি কোন অনুমোদন বা রেজিষ্ট্রেশন হয়নি। তিনি আরো বলেন আমি আমার এলাকার উন্নয়নের জন্য কারো থেকে কোন টাকা গ্রহণ করি না। কেউ যদি আমার নাম করে নিয়োগের জন্য কোন টাকা নিয়ে থাকে তবে সে আমার কাছে আর জাইগা পাবে না।অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। বিদ্যালয়ে নিয়োগ দেয়ার কথা বলে মোশাররফ হোসেন যাত্রপুরের যমুনার নিকট থেকে ১লাখ,শারমিনের নিকট থেকে ১লাখ,ইভার নিকট থেকে ১লাখ ২০ হাজার,ফয়লা ইভানা রহমানের থেকে ৬০ হাজার,করতিপাড়ার সোহেলের নিকট থেকে ৫০হাজার, আড়মুখি গ্রামের স্বপ্নার নিকট থেকে ১লাখ,খড়াশুনী গ্রামের শিমুলের নিকট থেকে ১লাখ টাকা সহ প্রায় ১৯ জনের নিকট থেকে বিভিন্ন পরিমানের টাকা নিয়েছে বলে জানা যায়। নৈশপ্রহরী নিয়োগের জন্য নেওয়া হয়েছে ২০ হাজার টাকা বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন। এলাকাবাসী আরো জানান, এই বিদ্যালয়টি ঘিরে তামাশা করেছেন মোশাররফ হোসেন। তিনি রাজনৈতিক ব্যাক্তি হওয়ায় তার বিরুদ্ধে অনেকেই মুখ খুলতে সাহস পাইনি। এলাকার মানুষ এতোদিন মুখ না খুললেও এখন মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে অতিষ্ঠ হয়ে এখন প্রতিবাদ করতে শুরু করেছে। এব্যাপারে মোশাররফ হোসেনের সাথে কথা বলার জন্য গেলে তাকে বাড়িতে বা এলাকায় না পেলে মুঠোফোনে ফোন করলে তিনি প্রথমে সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবী করলেও পরে সাংবাদিকদের সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য ম্যানেজ করার অনেক চেষ্টা করেছেন কথিত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোশাররফ হোসেন।